Opu Hasnat

আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার ২০২৪,

শ্রমিক নিয়োগে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ নাটোর

শ্রমিক নিয়োগে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নে অতি-দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির পাঁচটি প্রকল্পে কাগজে-কলমে ভূুয়া শ্রমিক দেখিয়ে বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও দরিদ্র শ্রমিকদেরকে কাজ দেয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে আগাম এক হাজার টাকা করে উৎকোচ নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শ্রমিকেরা। উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা থেকে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের কর্মসৃজন কর্মসূচির (২য় পযার্য়ের) আওতায় বিয়াঘাট ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পে সপ্তাহে পাঁচ দিনের প্রতিদিন দুইশ’ টাকা মজুরীতে ১৯৫ জন শ্রমিক তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের কাগজপত্রে যতজন শ্রমিক দেখানো আছে, বাস্তবে রয়েছে তার চেয়ে অনেক কম অথচ কাগজ-কলমে সব শ্রমিককে উপস্থিত দেখিয়ে সংশ্লিষ্টরা শ্রমিকের মজুরীর টাকা আতœসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতি ও শ্রমিক সরদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোন প্রকল্পে কতজন শ্রমিক কাজ করার কথা তারা সেটা জানেন না। তালিকা করা থেকে শুরু করে সব কিছু এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন চেয়ারম্যানের ভাগিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম বাবু। কাজ শুরু হওয়ার সময় কোন প্রকল্পে কতজন শ্রমিক কাজ করবে তিনি মেম্বারদের শুধু তা বলে দিয়েছেন। বুধবার বিয়াঘাট ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বিল হরিবাড়ি ঈদগাহ্ ভরাট প্রকল্পে ৬৩ জনের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন কাজ করছেন। এ ব্যাপারে প্রকল্পের তদারককারী পরিচয় দানকারী আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করবে বলেইতো আমরা জানি। চেয়ারম্যানের ভাগিনা বাবু ভাইও সেটাই বলেছেন। এখানে ৬৩ জন শ্রমিক বরাদ্দ আছে আমরাতো তা জানি না। ইউনিয়নের অন্যান্য প্রকল্পগুলো ঘুরে একই রকম চিত্র দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, নাম তালিকাভূক্তির জন্য কাজ শুরুর আগেই বাবুর লোকেরা এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। যারা টাকা দিতে পারেননি, তারা কাজ পাননি। বিল হরিবাড়ি প্রকল্পের সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের সব কিছু চেয়ারম্যানের ভাগিনা বাবুই দেখাশুনা করে। কতজন শ্রমিক থাকার কথা আর কতজন আছে আমি তা জানি না। আমি প্রকল্প দেখতেও যাইনি। এ ব্যাপারে বাবুই ভালো বলতে পারবে। চেয়ারম্যানের ভাগিনা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী রবিউল করিম বাবুর সাথে শ্রমিকদের কাজ দেয়ার জন্য উৎকোচ নেয়া এবং কম শ্রমিকের ব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ প্রসঙ্গে না গিয়ে বারবার সাংবাদিককদের আপোষের প্রস্তাব দেন। বিয়াঘাটের ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলীর সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।