Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

কালজ্বয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত শিল্প ও সাহিত্যরাজবাড়ী

কালজ্বয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল,ঊনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম সাহিত্যিক, কালজ্বয়ী উপন্যাস “বিষাদ সিন্ধু” রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন। তার স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারী ভাবে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়। অব্যবস্থাপনার কারনে স্মৃতি কেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের জন্য স্মৃতি কেন্দ্র উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ভিআইপিদের জন্য ২টি বিশ্রামাগার, সভা-সেমিনার কক্ষসহ সংগ্রহশালা রয়েছে। কিন্তু বৈদ্যুতিক লাইন ও লাইটের ব্যবস্থা ও লোকবল না থাকায় নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ভিআইপি ও পর্যটকরা এসে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সরকারী ভাবে পদমদী স্মৃতি কেন্দ্রকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।  জরুরী ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ, বৈদ্যুতিক লাইন ও লাইটের ব্যবস্থার জন্য পর্যটকদের দাবী। 

মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৯১১ সালের ১৯ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মৃত্যু বরন করেন। পদমদীতে তাকে সমাহিত করা হয়। 

সাহিত্যে ক্ষেত্রে মীর মশাররফ হোসেন উজ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতা ও করেছেন। মীর মশাররফ হোসেনের রচনা সমগ্রহের মধ্যে রত্নাবতী, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, জমিদার দর্পন, সংগীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব, বিষাদ সিন্ধু, গো-জীবন, বেহুলা গীতাভিনয়, গাজী মিয়ার বোস্তানী, মৌলুদ শরীফ, মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা, বিবি খোদেজার বিবাহ, হযরত ওমরের ধর্মজীবন লাভ, হযরত বেলালের জীবনী, হযরত আমীর হামজার ধর্ম জীবন লাভ, মোসলেম বীরত্ব, এসলামের জয়, আমার জীবনী, বাজিমাত, হযরত ইউসোফ, খোতবা বা ঈদুল ফিতর, বিবি কুলসুম, ভাই ভাই এইতো চাই, ফাস কাগজ, একি!, টালা অভিনয়, পঞ্চনারী, প্রেম পারিজাত, বাধাখাতা, নিয়তী কি অবনতি, তহমিনা, গাজী মিয়ার গুলি ও বৃহৎ হীরক খনি সহ উল্লেখযোগ্য।