Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

সখীপুরে এক মাসে সাপের কামড়ে পাঁচজনের মৃত্যু টাঙ্গাইল

সখীপুরে এক মাসে সাপের কামড়ে পাঁচজনের মৃত্যু

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় এক মাসে সাপের কামড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের ছোবলে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানোর জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার সবটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কয়েকজন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা বনাঞ্চল ও পাহাড় এলাকা হওয়ায় এসব অঞ্চলে বিষধর সাপের উৎপাত বেশি। উপজেলার সুরীরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহেল রানা ফল বেরোনোর কয়েক দিন আগে সাপের কামড়ে মারা যায়। এ ছাড়া গত ৩০ মে বাজাইল গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন (২৫), গত ১৮ জুন বড়চওনা গ্রামের কছিম উদ্দিন ওরফে কচু খাঁ (৫০) নামের এক সাপুড়ে, গত ২৬ জুন বহুরিয়া চতলবাইদ গ্রামের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম (৪০) ও সর্বশেষ গত শনিবার বিকেলে বেড়বাড়ী গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়া (২৫) সাপের কামড়ে মারা যান।

সিরাজুলের বড় ভাই মোস্তফা কামাল অভিযোগ করে বলেন, সাপের কামড়ের পর সিরাজুলকে মাইক্রোবাসে করে গ্রথমে মধুপুরের জলছত্র হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভ্যাকসিন না পেয়ে মংমনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন থাকলে সিরাজুল মারা যেতেন না।

সুরীরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, প্রতিবছরই সাপের কামড়ে লোকজন মারা যাচ্ছেন। সখীপুরে সরকারি উদ্যোগে সম্ভব না হলেও বেসরকারি উদ্যোগে সাপের বিষের ভ্যাকসিন রাখা হলে অন্তত কেউ সাপের কামড়ে মারা যাবে না।

সখীপুর বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান, শাল-গজারিবেষ্টিত লাল মাটির উঁচু অঞ্চলের কারণে সখীপুর বিষধর সাপের অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত। সখীপুরে ডাঁড়াশ, গোখরা নামের বিষধর সাপের সংখ্যা বেশি। বনপ্রহরীদের সব সময় সাপ থেকে সতর্ক থেকে দাযয়িত্ব পালনে পরামর্শ দেন ।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডিআই রেজাউল করিম বলেন, সাপের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এ ছাড়া ভ্যাকসিন দিতে গেলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক লাগবে। জেলার কোনো উপজেলাতেই সাপের কামড়ের কোনো চিকিৎসা নেই।