টাঙ্গাইলের ফারুক হত্যা
এমপি রানাসহ ১০ আসামীর মালামাল ক্রোক টাঙ্গাইল / 
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০জনের সব অস্থাবর মালামাল ক্রোক করেছে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ।
আজ (২০ মে) সকাল থেকে দিনব্যাপী মামলার সব পলাতক আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল ক্রোক করা হয়।
তবে অভিযানে তেমন কোনো উল্লেখ্যযোগ্য মালামাল ক্রোক করতে পারেনি পুলিশ।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া জানান, মালামাল ক্রোকের বিষয়ে আদালতের আদেশের খবর পাওয়ার পরপরই আসামিরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাসা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এসময় মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসার ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে একটি ফ্রিজ, বেশ কিছু কাপড় ক্রোক করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৬ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ফারুক হত্যা মামলার পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের নিদের্শন দেন।
অন্য আসামিরা হলেন, এমপি রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান।এছড়াও রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তার ছোট ভাই বাপ্পা তাদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে আনিছুল ইসলামের (এমপির ঘনিষ্ঠ) মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনান বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান।
শৌচাগার থেকে ফেরার পথে কবির হোসেন (এমপির ঘনিষ্ঠ) পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর সংসদ সদস্য আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর মৃতদেহ তার বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।