৫ লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায়
মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে নির্যাতন, আদালতে মামলা নারী ও শিশু /  নোয়াখালী / 
৫ লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা পারভিন আক্তার (২৬) কে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় যৌতুকলোভী স্বামী মো: ফজর আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভিকটিম পারভিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনুাল, নোয়াখালীতে যৌতুকলোভী মোঃ স্বামী ফজর আলীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। একই ভাবে যৌতুকলোভী মো: ফজর আলীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে নির্যাতনের অভিযোগে মোঃ আলী, মো: ফজর আলী ও আনোয়ার আলী সহ ৭জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে। দুই মামলার ঘটনাটি ঘটেছে ০৪/০৪/২০১৫ ইং ও ১৯/০৫/২০১৫ ইং তারিখে। এদিকে জেলা মহিলা বিয়ষক কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে ভিকটিম পারভিন আক্তারের মামলাটি তদন্ত করে এবং প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পান বলে তিনি জানান।
এ দিকে পুলিশ আনোয়ার আলী সহ ৩জনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে তারা জামিনে বের হয়ে আসে। বর্তমানে জামিনে এসে বাদী মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইউম পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুধারামের ধর্মপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইউমের কন্যা পারভিন আক্তারের সাথে ১৫/০২/২০০৮/ ইং তারিখে পার্শ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার চরবৈশাখী গ্রামের আমির আলীর ছেলে মো: ফজর আলীর সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। এরই মাঝে তাদের সংস্কারে একটি কন্যা০ সন্তান জন্ম নেয়। পরবর্তীতে যৌতুকলোভী স্বামী ফজর আলী স্ত্রী পারভিন আক্তারকে যৌতুকের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে ৫ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্বামীর দাবিকৃত ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে স্ত্রী অপারগতা প্রকাশ করলে চলে তার উপর নির্যাতন। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। একইভাবে তার ছোট ভাই মো: আলী স্ত্রী মনোয়ারাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে। পরে মনোয়ারা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অপর বাদী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।