Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে তিনটি ফেরি ও একটি ঘাট বিকল

দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি রাজবাড়ী

দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি

গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী তিনটি ফেরি ও একটি ঘাট বিকল থাকা এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নদী পার হতে আসা যানবাহনের সাড়ি অন্তত চার কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। এসময় আটকে থাকা যাত্রী, যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা দুর্ভোগের শিকার হন। 

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া অফিস ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী রোরো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে আছে। এ ছাড়া গত কয়েক দিন যাবৎ দৌলতদিয়া ৪টি ফেরি ঘাটের মধ্যে ৩নং ফেরি ঘাটটি বিকল হয়ে সেখান দিয়ে যানবাহন ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রুটে চলাচলকারী আরেকটি রোরো (বড়) ফেরি আমানত শাহ বিকল হয়ে পড়ে। এতেকরে নৌরুটে ফেরি সংকট সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে শুক্রবারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে নদী পাড় হতে আসা যানবাহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এতেকরে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নদী পার হতে আসা যানবাহনের সাড়ি দীর্ঘ হয়ে দৌলতদিয়া ঘাট জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচরীজ পর্যন্ত অন্তত চার কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। আটকে পড়া যানবাহনের মধ্যে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার এবং আড়াই কিলো মিটার জুড়ে পন্যবাহি ট্রাক। দীর্ঘ সময় আটকে থাকা সাধারণ বাসযাত্রীরা এসময় ভোগান্তির শিকার হন। 

শুক্রবার বিকেলে দৌলতদিয়াঘাট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় চার কিলোমিটার মহাসড়কের একপাশে রাজধানীগামী শত শত ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে। অগ্রভাগে রয়েছে দূরপাল্লার বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস। বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা জানান, নদী পার হতে এসে ফেরির নাগাল না পাওয়ায় গাড়িগুলো দীর্ঘ সময় আটকা পড়ে আছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। সামান্য নদীপথটুকু পাড়ি দিতে এসে গাড়িগুলোকে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। 

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সফিকুল ইসলাম জানান, ফেরি বিকল হওয়া ছাড়াও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিরিয়ালে কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এখান দিয়ে সর্বোচ্চ ৬শ বাস নদী পার হয়। কিন্তু গত দুই দিন ধরেই প্রতিদিন অন্তত ৮শ বাস ফেরি পাড় হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। তবে রাতের মধ্যে আটকে পড়া সকল যানবাহন নদী পাড় করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।