ঝালকাঠি পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে জয়ী হতে মরিয়া ৩৮ প্রার্থী ঝালকাঠি / 
ঝালকাঠি পৌর নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জয়ী হতে মরিয়া হয়ে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। নিয়মিত চলছে উঠান বৈঠক ও পথসভা। প্রচার-প্রচারণায় ডিজিটাল পদ্ধতিও ব্যবহার করছেন তারা। শহরে দুপুর ২ টা শুরু হতে না হতেই শুরু হয় মাইকিং। বিভিন্ন বাচনভঙ্গিতে আকর্ষণীয় ভাষায় করা হয় মাইকিং। কিন্তু প্রতিটি মাইকিংয়েই সরাসরি কোন মানুষ মুখে কথা না বলে রেকর্ডিং ছেড়ে ধারা ভাষ্য প্রচার করা হচ্ছে। প্রচারমাধ্যমে তারা প্রার্থীর গুণাগুণ ও একঝুড়ি সফলতা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। নির্বাচনী আচরণবিধিও লঙ্ঘন করা হচ্ছে প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে। একটি অটোতে ডাবল মাইক ব্যবহার ও শোডাউন-মিছিল করা হয় প্রার্থীর পক্ষে।
ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ১ নং পশ্চিম চাঁদকাঠি ওয়ার্ডে বশির সিকদার (পানির বোতল), রেজাউল করীম জাকির (পাঞ্জাবী), মোঃ শাহিন মল্লিক (উটপাখি)। ২ নং পূর্ব চাঁদকাঠি ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন (উটপাখি), মোঃ হাফিজ আল মাহমুদ(পাঞ্জাবী), সাহজাহান হাওলাদার (পানির বোতল)। ৩ নং কৃষ্ণকাঠি ওয়ার্ডে মোঃ জামাল হোসেন মিঠু(ব্ল্যাকবোর্ড), মোঃ ফরিদ হোসেন(ব্রিজ), মোঃ মজিবর রহমান (উটপাখি), মোঃ রুস্তম আলী চাষী (পাঞ্জাবী), মোঃ শাহজাহান সিকদার (পানির বোতল), দুলাল হাওলাদার (ডালিম)। ৪ নং কাশারীপট্টি, আড়ৎদারপট্টি ও পালবাড়ি ওয়ার্ডে বিষ্ণু চন্দ্র ধর (উটপাখি), মুঃ মাহবুবুজ্জামান স্বপন(পানির বোতল), মোঃ আজাদ রহমান (বø্যাকবোর্ড), মোঃ হারুন অর রশিদ (পাঞ্জাবী), মোহাম্মদ জামাল হোসেন (ডালিম)। ৫ নং রায়মঙ্গল ওয়ার্ডে তরুন কর্মকার (উটপাখি) ও প্রনব কুমার নাথ ভানু (ব্ল্যাকবোর্ড)। ৬ নং বাসন্ডা ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার (পাঞ্জাবী), মোঃ মজিবুর রহমান (ডালিম), মোঃ মোশারেফ হোসেন (পানির বোতল), মোঃ রিয়াজ হাওলাদার (উটপাখি), মোঃ শাহ আলম খান ফারসু (ব্ল্যাকবোর্ড)। ৭ নং কিফাইতনগর ওয়ার্ডে সোলায়মান হাওলাদার (উটপাখি) ও মোঃ হুমায়ুন কবীর (ব্ল্যাকবোর্ড)। ৮ নং কাঠপট্টি ও তরকারীপট্টি ওয়ার্ডে এসএম রায়হান আনিচ, মিজানুর রহমান ফরাজী (ব্রিজ), মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ জিলানী (পাঞ্জাবী), মোঃ হানিফ হাওলাদার (উটপাখি), মোঃ সাইফুল ইসলাম (ডালিম), মোঃ সেলিম মুন্সি (ব্ল্যাকবোর্ড), মোঃ হাবিবুর রহমান (টেবিল ল্যাম্প), সমীর দাস পানির (বোতল)। ৯ নং সিটি পার্ক, বান্দাঘাট ও কলাবাগান ওয়ার্ডে মোঃ আইউব আলী তালুকদার, মোঃ আব্দুল হক খলিফা (পাঞ্জাবী), মোঃ রফিকুল ইসলাম (উটপাখি), মোঃ সাইফুদ্দিন জিয়া (ব্রিজ)।
তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন মিঠু বলেন, এলাকাবাসীর অনুরোধে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি যুবক হিসেবে মুরব্বীদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার যুবসমাজ আমাকে একচেটিয়া সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি পূর্বেও যেমন এলাকাবাসীর পাশে ছিলাম, এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। প্রবীণ প্রার্থীদের মধ্যে ৩ নং কৃষ্ণকাঠি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক কমিশনার শাহজাহান সিকদার বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তি থেকে জনসাধারণের সেবা করে আসছি। সেই থেকেই জনগণের পাশে থেকে সুখ-দুঃখের অংশিদার হয়ে বর্তমান পর্যন্ত আছি। ঝালকাঠি পৌরসভা বর্ধিত হবার ঘোষণার পূর্বে ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ইউপি সদস্য ছিলাম। পরে ১৯৮৯ সালে পৌরসভা বর্ধিত করণের আওতায় কৃষ্ণকাঠি অন্তর্ভুক্ত হবার পর প্রথম বারের নির্বাচনেই কমিশনার নির্বাচিত হই। এরপর থেকে জনগণের পাশে সবসময় থেকে জনসেবা করেছি। আমার বন্ধু, সহপাঠি, আত্মীয়, তরুণ এবং এলাকার মুরব্বীরা দলমত নির্বিশেষে আমার পাশে থাকায় জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা প্রকাশ করছি।