Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

মুন্সীগঞ্জে ইজিবাইকের কারনে ব্যাপক জনদূর্ভোগ মুন্সিগঞ্জবিশেষ সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে ইজিবাইকের কারনে ব্যাপক জনদূর্ভোগ

মুন্সীগঞ্জ শহরে ইজিবাইক মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারনে অন্যান্য সকল যানবাহন সময়মতো গন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা । সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো দখল করে রাখে । 

এছাড়া, ভটভটি, শ্যালো মেশিন চালিত গাড়ী, নসিমন, করিমনসহ অবৈধ গাড়ী এখন রাস্তা দখলের মহড়ায় নেমেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের পৌরসভার সামনে, কের্টের সামনে, পুরাতন বাস স্টান্ড, মাছ বাজারের ব্যস্ততম রাস্তায়, সুপার মার্কেট মোড়সহ একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্টান্ড । নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকার ফলে যে কোন স্থানে গড়ে ওঠছে একাধিক স্টান্ড। 

ইজি বাইক সহজলভ্য হওয়ায় যে কোন বয়সের লোক নিজে কিনে কিংবা ভাড়া নিয়ে কোন ট্রেনিং ছাড়াই চালাতে পারে ইজিবাইক ।

প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দূর্ঘটনা ঘটে কেবলমাত্র ইজি বাইকের কারনে । গত ২৬-১০-১৫ ইং তারিখে ইজি বাইকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শহরের কাটাখালি এলাকয় ঝিনুক (২২) নামে একজন গৃহবধু মারা যায় । ইজি বাইকের চালকরা গাড়ীতে উচ্চ মাত্রায় গান বাঁজিয়ে যাত্রীদের বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করে । এতে একদিকে যেমন শব্দ দূষন হয়, আর অন্যদিকে চালকরা থাকে গানের তালে যার ফলে পিছনে থাকা যানবাহন হর্ন বাজালেও ইজি বাইক চালকরা শোনেনা । এর ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দূর্ঘটনা ঘটছেই । কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যে যার যার মতো ইজি বাইক রাস্তায় নামাচ্ছে । আর ইজি বাইক রাস্তায় নামাতে সরকারকে কোন টেক্স দিতে হয় না ।

এ ব্যাপারে একাধিক চালকের কাছে জানতে চাইলে, ব্যাটরি চালিত ইজি-বাইকের চালক দুলাল জানান, আমাদের কোন ট্রেনিং লাগেনা যে রিক্সা চালাতে পারে সে এটা চালাতে পারবে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালাতে ট্রেনিং, লাইসেন্স লাগে এবং সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় আর এটা চালাতে কাউকে ট্যাক্স দিতে হয় না । আমরা ২০ টাকার চার্জ দিয়ে সারাদিন চালাতে পারি এতে ১০০০-১২০০ টাকা আয় করতে পারি ।

পথযাত্রী আফরিনা আক্তার সুমী জানান, রাস্তা পারাপার হতে গেলে অনেক সমস্যা করে ইজিবাইক । ইজিবাইকে উচ্চ সুরে গান বাজনা বাজানোর কারনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে যানজটে পরতে হয় । অতিরিক্ত ইজিবাইকের কারনে সব সময় যানজট লেগেই থাকে শহরে । এ গাড়ী ব্রেক করার অনেক পর গাড়ী থামে, তাই রাস্তা পার হতে অনেক ভয় লাগে ।

পথযাত্রী, জসিম উদ্দিন জানান, রাস্তায় আসলেই দেখি রাস্তায় ব্যাটারি লাগানো রিক্সাগুলো বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালায় যার কারনে যানজট আর দূর্ঘটনা লেগেই থাকে রাস্তায় । কয়েকবার ব্যাটরি লাগানো রিক্সা সরকার বন্ধ ঘোষনা করলেও এখন সেগুলো চলছে পূরোদমে ।

এ বিষয়ে সদর ট্রাফিক সার্জেন্ট কামরুল ইসলাম বেগ জানান, বর্তমানে সকল পরিবহনের তিনগুন পরিমান ইজি বাইক চলে রাস্তায় । ব্যাটারীচালিত অতিরিক্ত ইজি বাইকের কারনে যানজট নিয়ন্ত্রন করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সকালে অফিস টাইমে সরকারী কর্মকর্তাদের গাড়ীও মাঝে মধ্যে যানজটে আটকা পরে থাকে । আমরা চেষ্টা করছি এসব ব্যাটারি চালিত গাড়ী গুলোকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে।